এই মাত্র পাওয়া :

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ নেতা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত


প্রকাশের সময় :৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ৮:৪৮ : অপরাহ্ণ 805 Views

খাগড়াছড়ি নিউজ ডেস্কঃ-খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) এর সংগঠক মিঠুন চাকমা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে।তিনি জেলা সদরের অপর্ণা কার্বারী পাড়ার মৃত স্বপন কিশোর চাকমার পুত্র।আজ ৩ জানুয়ারি কোর্টে হাজিরা শেষে সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে গেলে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।পথিমধ্যে স্লুইচ গেইট এলাকায় নিয়ে সন্ত্রাসীরা তার পেটে ও মাথায় গুলি করে ফেলে রেখে যায়।সেখান থেকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।২০০১ সালে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মিঠুন চাকমা।হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী রীনা দেওয়ানের স্বামী মিঠুন চাকমা খাগড়াছড়ি সদর থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইন (জিআর ১৯১/১৪) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (জিআর ১১৫/১৬) সহ একাধিক মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি। ২০১৬ সালের ১২ জুলাই খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ তাকে আটক করে।পরে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়।এ ছাড়াও মিঠুন চাকমার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় এক ডজনের মতো মামলা রয়েছে।২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্ত হন।এরপর থেকেই সাংগঠনিক কাজে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন মিঠুন চাকমা।তথ্য প্রযুক্তি মামলায় ধরা পড়ার পরও জামিনে মুক্তি পাওয়ায় পার্টির একাংশ তাকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি করে।শোনা যায়,তিনি আঞ্চলিক রাজনীতি ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।ইউপিডিএফ সংগঠক হলেও মিঠুন চাকমা বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে ও অনলাইনে খুবই সক্রিয় ছিলেন। পার্টির নীতি-আদর্শের পক্ষে এসকল গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে লেখালেখি করতেন ঢাকা কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করা এই সংগঠক।মিঠুন চাকমার পিতাও শান্তিবাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং দুদুকছড়িতে গুলিতে প্রাণ হারান।পিতার পথ অনুসরণ করে তিনিও পার্বত্য চট্টগ্রামের অঞ্চলিক রাজনীতিতে ছাত্র জীবন থেকেই জড়িত হয়ে পড়েন।ইউপিডিএফে যোগদানের পর তিনি পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।মিঠুন চাকমার ছোট ভাই বাগিস চাকমা জানায়,আজ কোর্টে হাজিরা ছিলো।তিনি হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফিরতেই এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে তাদের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।পরে পানখাইয়া পাড়ার স্লুইসগেইট এলাকায় নিয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ফেলে রেখে যায়।সেখান থেকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত এক ব্যক্তির মরদেহ আনা হয়েছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে আসে এবং লাশ দেখতে পায় বলে জানান খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান। মরদেহের সুরতহাল করার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৯ বছর পর গেল ১৫ নভেম্বর দু’ভাগে বিভক্ত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রভাবশালী পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ।বিভক্তির পর সংগঠনটির কোন নেতাকর্মী প্রথম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর