

স্পোর্টস নিউজ ডেস্কঃ-সাব্বির ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ।তাতে কি আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে বাঁধা আছে।দিনের পর দিন বাজে ফর্ম নিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ বা অন্য কোনো কারণে দলে সুযোগ পান সাব্বির।চলতি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টেস্টে মোসাদ্দেকের বদলে সুযোগ পান তিনি।কিন্তু প্রথম ইনিংসে দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হন।আবার ফিল্ডিংয়ের সময় মুস্তাফিজের বলে প্রথম স্লিপে দীনেশ চান্দিমালের সহজ ক্যাচ মিস করেন।এমনিতেই ম্যাচে বেশ চাপে টাইগাররা,তারওপর ক্যাচ মিস করা আত্মহত্যার সামিল।দায়িত্ব নিয়ে পারফর্ম করার গুরুত্বটা কবে বুঝবেন সাব্বির। তাহলে সাব্বিরকে দলে নিয়ে লাভ কি হল?মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এখন বিকেএসপি`তে খেলছেন আবাহনীর হয়ে।আজ মোসাদ্দেক কলাবাগানের বিপক্ষে ৪০ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেছেন।বল হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। ৮ ওভার বল করে মাত্র ২০ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন।তাই সাব্বিরের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জাতীয় দলে ঢুকে পড়ার সঙ্গে সৈকতের বাদ পড়াকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে পারে যে কেউ।তাহলে কি শুধুমাত্র ঘরোয়া ক্রিকেটে ‘নিষিদ্ধ’ ফর্মের বাইরে থাকা সাব্বিরকে খেলাতেই মোসাদ্দেককে বাদ দেওয়া হলো? নাকি ইনফর্ম মোসাদ্দেককে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলানোর জন্যই আউটফর্ম সাব্বিরকে জাতীয় দলে নেওয়া হল? এর ব্যাখ্যা কার কাছে চাওয়া যাবে? কাউকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সদুত্তর পাওয়া যে মুশকিল।জাতীয় দলটা যেন`এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার` এ পরিণত হচ্ছে দিনকে দিন।ঘরোয়া ক্রিকেটে দর্শককে পেটানো এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে বাজে আচরণের কারনে সাব্বিরকে ছয় মাস ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে বিসিবি।একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি ২০ লাখ টাকা (প্রায় ২৫ হাজার ডলার) জরিমানা করা হয়।