এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ভয়াল ৩১ মে..!!!


প্রকাশের সময় :৩১ মে, ২০১৮ ৯:৫৭ : অপরাহ্ণ 899 Views

মোঃরফিকুল ইসলাম, বান্দরবানঃ-ঐতিহাসিক ভূষণছড়া গণহত্যা দিবস। পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন শান্তিবাহিনী অথবা জেএসএস দ্বারা যতগুলো বাংগালি গণহত্যা সংগঠিত হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ ও ভয়াবহ গণহত্যা হচ্ছে ভূষণছড়া গণহত্যা।

দিনটি ১৯৮৪ সালের ৩১ই মে। ৩০ ই মে দিবাগত রাত ৪ টা ও ৩১ ই মে সকাল ৮ টা। এদিন পার্বত্য রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় উপজাতি জঙ্গিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে সহজসরল নিরস্ত্র অসহায় ঘুমন্ত পার্বত্য বাংগালিদের ওপর।উপজাতি হায়েনারা সেদিন রাতের আধাঁরে ভূষণছড়া ও তার অশেপাশের প্রত্যেকটি বাংগালি গ্রামে অগ্নি সংযোগ,লুটতরাজ ও বাংগালি গণহত্যায় মেতে ওঠে।অসহায় বাংগালি নারী ও শিশুদেরদের গণধর্ষণের পর হত্যা সেদিন এক নরকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে।মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ১৪৫০ জনের অধিক বাংগালি নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ বনিতাকে হত্যা করেছিল উপজাতি জঙ্গিরা। বেনেট দিয়ে খুচিয়ে, হাত পা বেধে পিটিয়ে, দা দিয়ে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন আহত হয়েছিলো আরও সহস্রাধিক নিরস্ত্র অসহায় বাংগালি। অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো কয়েক হাজার বাংগালি। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলো সেদিন একটি জনপদ। বরকলের ১৬০০ বাংগালি পরিবারের মধ্যে ৮০০ টিরও বেশি পরিবার সেই সময় আক্রান্ত হয়েছিলো উপজাতি জঙ্গিদের দ্বারা। যাদের মধ্যে ৫৩০টি পরিবার সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যা মনে হলে আজও হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন বেচে যাওয়া পরিবার পরিজন হারা অসহায় বাংগালিরা।

কি অপরাধ ছিল সেদিন এই নিরস্ত্র অসহায় বাংগালিদের ? অপরাধ একটাই ছিল তারা বাংগালি ও বাংলাদেশের নাগরিক। পাহাড়ে বাংগালি বেচে থাকলে পাহাড়ে বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে তাই স্বাধীন জুম্মাল্যন্ডের জন্য যুদ্ধরত উপজাতি জঙ্গি সংগঠন শান্তিবাহিনীর প্রধান টার্গেটই ছিল পার্বত্য বাংগালিরা।তবে আফসোস সেদিন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ত দূরের কথা নিজ দেশের মিডিয়ায়ও তেমন ঠাই করে নেয় নি স্বাধীন বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংগালিদের ওপর সংঘঠিত এই সকল গণহত্যা। আজও বাংগালির দেশে পার্বত্য বাংগালিদের প্রতি চরম অবজ্ঞা পার্বত্য বাংগালিদের ধুকে ধুকে কাঁদায়। বাংগালি হয়ে আজও আমরা বাংলাদেশে অধিকারহীন এক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।

অথচ হাজার হাজার পার্বত্য বাংগালির রক্তেই আজও পাহাড়ে ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। আজও পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!