

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-২০১৭ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ফলাফলে শীর্ষে রয়েছে বান্দরবান ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।অন্যদিকে বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজের ফল বিপর্যয় হয়েছে।বান্দরবান জেলার পাচঁটি কলেজের মধ্যে পাসের হারে বরাবরের ন্যায় এবারও প্রথম হয়েছে বান্দরবান ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ১২৯ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১৯ জন।জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮ জন।ফলাফলের সাফল্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হাজী এম এ কালাম ডিগ্রী কলেজ ১৩৮ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২০ জন।এদিকে পাসের হার গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে বান্দরবান সরকারী কলেজে,৬৫০ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৫০ জন।একই চিত্র লামা মাতা মুহুরি ডিগ্রি কলেজেরও ৪০২ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২১৩ জন।সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে বান্দবারবান সরকারী মহিলা কলেজ।মহিলা কলেজে বিজ্ঞান,মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা তিন বিভাগে ৪৫০ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৬৬ জন।শতকরা হিসেবে ৩৬.৮৯ ভাগ।এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৬০ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৯ জন মানবিক এ ২৬৩ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৫ জন ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১৩০ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫২ জন।সবচেয়ে বেশী খারাপ করেছে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা।বান্দরবানের বালাঘাটায় অবস্থিত হোস্টেল সুবিধা সম্বলিত মেয়েদের জন্য একমাত্র প্রতিষ্ঠান বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজ।হোস্টেল সুবিধা থাকায় বান্দরবান ও আশপাশের মেয়েরা এ কলেজে ভর্তি হয়।বর্তমানে এ কলেজে ৩’টি বিভাগে ১৩ জন শিক্ষক,৮০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।তবে বাংলা ও মানবিক বিষয়ে শিক্ষক সঙ্কট থাকায় পাসের হার খারাপ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রদীপ বড়ুয়া।তিনি বলেন আমার কলেজে অনেক দিন ধরেই বাংলা ও মানবিক বিভাগে শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে।অনেক বলার পরে কিছুদিন আগে বাংলা বিষয়ে একজন শিক্ষক দেয়া হয়েছে।শিক্ষক না থাকায় মেয়েরা এসব বিষয়ে খারাপ করেছে বলেও মনে করেন তিনি।তবে টেবুলেশন শীট না আসার আগে সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না কোন বিষয়ে বেশী খারাপ করেছে।এ ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়ে হওয়ায় শিক্ষার দিক থেকে এমনিতেই একটু পিছিয়ে রয়েছে এ কলেজের মেয়েরা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।প্রাপ্ত ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মেজর দিলীপ কুমার রায় বলেন,প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম ও মনোযোগের কারণে এই সাফল্য আমরা অর্জন করতে পেরেছি।দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদা করে গাইড দেয়ায় ভাল ফলাফল হযেছে।এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতীতেও ভালো ফলাফলের জন্য সুনাম অর্জন করে আসছে।সাফল্যের এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আমরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাবো এবং আগামীতে আরও ভালো ফলাফল যাতে শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারে সেজন্য সচেষ্ট থাকবো।এসময় তিনি সকল কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা ব্যাক্ত করেন।