স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বেশি পরিমাণে পরীক্ষার ওপর জোর দিচ্ছেন, তখন বিশ্বজুড়েই পরীক্ষা করার কিটের চাহিদা বাড়ছে। এমন সময় প্রথমবারের মতো একজন নারী বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে সম্পূর্ণ ভারতে তৈরি কিট শতভাগ নির্ভুল ফল পাওয়ার সাফল্য দেখিয়েছে। মিনাল দাখেভে ভোঁসলে নামের ওই বিজ্ঞানী বিবিসিকে এই সাফল্যের নেপথ্যের গল্প বলেছেন।
মিনাল মহারাষ্ট্রের পুনের মাইল্যাব ডিসকোভারির গবেষণা ও উন্নয়ন প্রধান। তিনি একজন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ। কীভাবে তিনি ও তার দল এই কিট উৎপাদনে সাফল্য পেলেন, তার বিবরণ তুলে ধরেছে বিবিসি। মি ভাষায়, এমন কিট বানাতে সাধারণত তিন মাস থেকে চার মাস সময় লেগে যায়। তবে দ্রুততম সময়ে কিট উদ্ধাবনের রেকর্ড গড়েছেন তারা। তাদের কিট তৈরিতে সময় লেগেছে মাত্র দেড় মাস।
বিবিসি জানিয়েছে, মিনালের দিক থেকে এই তাড়ার পেছনে ব্যক্তিগত একটি কারণও ছিল। তিনি ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। এই মাসেই ছিল তার সন্তান জন্ম দেওয়ার তারিখ। তিনি চাইছিলেন সন্তান জন্ম দেওয়ার আগেই কাজটি শেষ করতে। তেমনটাই হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে তারা কাজ শুরু করেন। দেড় মাসের মধ্যেই সাফল্য পান।
সাফল্যের বিষয়ে এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘একটা জরুরি পরিস্থিতি এলো। এই সময়ে আমি দেশের জন্য কিছু করার চ্যালেঞ্জটা নিলাম। এই সাফল্য পেতে আমাদের ১০ জনের দলটি কঠোর পরিশ্রম করেছে।’
১৮ মার্চ মিনাল কিটটি পর্যালোচনা করার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে (এনআইভি) জমা দেন। পরের দিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে বাণিজ্যিক অনুমোদনের জন্য লিখিত প্রস্তাব পাঠান তিনি। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে অস্ত্রোপচারে তার কন্যাসন্তান হয়।
যে কিটের জন্য মিনালের এতোটা পরিশ্রম, এরইমধ্যে সেটি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে গেছে। তা দিয়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষাও শুরু হয়েছে।