স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। লন্ডনে একটি প্রবাসী সরকারও গঠন করেছে তারা।
এদিকে ভারতের এই অঙ্গ রাজ্যের হঠাৎ করে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ভারত সরকারকে আন্তর্জাতিক মহলে চাপে ফেলতে গভীর ষড়যন্ত্রের সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো। ভারতীয় জনপ্রিয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস, দ্যা হিন্দু ও বহুল প্রচারিত এনডিটিভি- মনিপুর রাজ্যের স্বাধীনতা ঘোষণার পেছনে লন্ডনে পলাতক বাংলাদেশের একজন বিরোধী দলীয় নেতার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি করেছে। এনডিটিভির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে- মনিপুর রাজ্যের স্বাধীনতা ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে লন্ডনে পলাতক বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব রকমের সহায়তা করেছেন। মনিপুরের নবগঠিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করা ইয়ামবেন বিরেন ও মনিপুর স্টেট কাউন্সিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী নারেংবাম সমরজিত দীর্ঘদিন ধরে তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারেক রহমানের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ এমনকি পরামর্শও নিতেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে দল চালানোর উদাহরণ দিয়ে মনিপুর রাজ্যের এই দুই নেতাকে স্বাধীনতা ঘোষণায় প্রলুব্ধ করেন তারেক।
অন্যদিকে ভারতের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্যা হিন্দুস্তান টাইমসের বরাতে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে ভারতের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হওয়া এবং বেগম জিয়ার মুক্তিতে ভারতকে পাশে না পাওয়ায় বিএনপি নেতা তারেক রহমান মনিপুর রাজ্যের স্বঘোষিত সরকারকে সহায়তা করছেন। মূলত লন্ডনে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের সহায়তায় তারেক রহমান ও মনিপুর রাজ্যের স্বঘোষিত দুই নেতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেয়া, ভারতকে অভ্যন্তরীণভাবে চাপে ফেলা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশটিকে বিতর্কের মুখে ফেলতে যৌথভাবে এই কাজটি করা হয়েছে বলেও এই পত্রিকাটি দাবি করেছে। ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলোর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় মনিপুরকে নতুন করে টার্গেট করা পাকিস্তান ও তারেক রহমান একত্রে মিলিত হয়ে ভারতবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে বলেও জানা গেছে।