মৈত্রী সেতু ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বুধবার বিকালে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার টাউন হলে রাষ্ট্রপতির সম্মানে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি বলেন, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম এলাকায় ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতুর কারণে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। তাঁর অভিমত, দুই দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ত্রিপুরা শুরু থেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
মৈত্রী সেতুর কারণে সম্প্রতি সে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। এমনকি আশুগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহারও আগের থেকে অনেক সহজ হয়েছে। এর ফলে ত্রিপুরার উদ্যোক্তারা অনেক সুবিধা পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ‘ত্রিপুরা একটি বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রাজ্য এবং তারা এখন বাংলাদেশকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
’ দুই দিনের সফরে বুধবার সকালে ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখেন রাষ্ট্রপতি। একাধিক অনুষ্ঠানের যোগদানের পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। এদিন দুপুরের দিকে আগরতলায় আলবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল পার্ক পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে শহীদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি।
গতকাল সকালে আগরতলা রেলস্টেশনে আগরতলা-কলকাতা-আগরতলা সাপ্তাহিক বিশেষ ট্রেনের সূচনা করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর আগরতলা জিরিবাম ট্রেনের বর্ধিত যাত্রার সূচনা করেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতি যান উদয়পুর ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে পুজো দিতে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা। এরপর ত্রিপুরা থেকে আসামের গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে উড়ে যান দ্রৌপদী মুর্মু।