প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় তুরস্ক


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ৬:২০ : অপরাহ্ণ 569 Views

প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা বাড়াতে চায় তুরস্ক। এ খাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং যৌথ উৎপাদনে যেতে আগ্রহী দেশটি। এ ছাড়া বাংলাদেশের বৃহৎ প্রকল্পগুলোতে কাজ করতে চায় তুরস্ক। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভোসুগলো এসব কথা জানান। দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার রাতে তিনি ঢাকা আসেন।
দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন কাভোসুগলো। সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বিকেলে রাজধানীর বারিধারায় তুরস্কের নবনির্মিত দূতাবাস ভবন উদ্বোধন করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কাভোসুগলো রাতে ঢাকা ছেড়ে গেছেন।

বাংলাদেশকে ‘এশিয়ার উদীয়মান তারকা’ আখ্যায়িত করে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তুরস্কের কোম্পানিগুলোকে এ দেশে আসতে উৎসাহ দিচ্ছি। শুধু টেক্সটাইল নয়, বর্তমানে তুরস্কের অনেক বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশের অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগে আগ্রহী। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর এটি ছিল প্রায় ১০০ কোটি ডলার। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য না কমায় তারা খুশি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন অন্য দেশের জন্য উন্নয়নের মডেল। এশিয়া আর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষাসহ নানা খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, তুরস্কের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথিবীর অন্যতম। বিশ্বে এ খাতে চীনের পরই তুরস্কের অবস্থান। এখন বাংলাদেশ অনেক বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। নির্মাণ খাতে বাংলাদেশের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় তুরস্ক।

কাভোসুগলো বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা পণ্যের গুণগত মান ভালো, দামে সুলভ। এগুলো কেনার জন্য কোনো শর্ত আরোপ করা হয় না। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ এই সুবিধাগুলোর সুযোগ নেবে। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বেশির ভাগই তুরস্ক উৎপাদন করে। কারণ হচ্ছে এর আগে যখন সমস্যা চলছিল তখন আমাদের বন্ধুরাও আমাদের প্রতিরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করেনি। এ খাতে তুরস্ক অনেক বিনিয়োগ করেছে। কয়েকটি দেশের সাথে আমরা যৌথভাবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন করছি। কাভোসুগলো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে তুরস্ক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে যথেষ্ট করছে না। আমরা শুধু কথা শুনতে চাই না। আমরা কাজেও তার প্রতিফলন দেখতে চাই। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে মেভলুত কাভোসুগলো বলেন, বাংলাদেশের এ বিষয়ে জাতিসঙ্ঘ, আইওএম এবং ইউএনএইচসিআরসহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় করা উচিত।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ড. মোমেন বলেন, আমরা তুরস্কের সাথে বাণিজ্য, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহযোগিতা এবং বহুপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। গত সেপ্টেম্বরে আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল তুরস্কের নতুন দূতাবাস ঢাকায় উদ্বোধন করা হলো। শিগগির সুবিধাজনক সময়ে বঙ্গবন্ধু ও কামাল আতাতুর্কের আবক্ষ মূর্তি দুই দেশে উন্মোচন করা হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 
আলোচিত খবর