

চট্রগ্রাম প্রতিবেদকঃ-চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেয়ার ঘটনায় ইউএনও এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।একই সঙ্গে লোহাগাড়া থানার ওসিকে বদলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।গতকাল সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মো.দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।দুই পুরিয়া গাঁজা পাওয়ার অভিযোগে ৮ মাসের সাজাপ্রাপ্ত বেলাল উদ্দিন রিট আবেদনটি দায়ের করেন।আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।ওই চারজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারজানা শারমিন ও আইনজীবী মকবুল আহমেদ।পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, তারা ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।এরপর শুনানি শেষে আদালত ভবিষ্যতে ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট বসানোর সময় সতর্ক থাকতে বলেছেন।আর লোহাগাড়ার ওসিকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন।‘আপাতত চারজনকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।তবে রুল শুনানি চলবে।এরপর হবে মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’ এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি লোহাগাড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব আলম,লোহাগাড়া থানার ওসি শাহজাহান এবং এসআই হেলাল খান ও এএসআই ওয়াসিম মিয়াকে তলব করেন হাইকোর্ট।গতকাল রোববার তারা আদালতে হাজির হলে তাদেরকে ভর্ৎসনা করেন হাইকোর্ট।তবে ওই দিন নিঃশর্ত ক্ষমা না চেয়ে সোমবার ক্ষমা চাওয়ার পর আদালত এ আদেশ দেন।জানা গেছে,১৩ অক্টোবর লোহাগাড়ায় মো. বেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।পর দিন ফৌজদারি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।পুলিশের জব্দ তালিকায় দেখা যায়,১৩ অক্টোবর রাত ৯টায় বেলালের কাছ থেকে দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।কিন্তু ১৪ অক্টোবর দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় ইউএনও পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত বেলালকে আট মাসের কারাদণ্ড দেন।এর পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের ‘সাজানো’ সাজা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বেলাল।