এই মাত্র পাওয়া :

কোটার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এর মত চেয়েছে সরকার


প্রকাশের সময় :১৯ আগস্ট, ২০১৮ ২:৪২ : অপরাহ্ণ 756 Views

বান্দরবান অফিসঃ-সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে আদালতের রায় নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামত চেয়েছে সরকার।

কোটা সংস্কার বা পর্যবেক্ষণে গঠিত কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ১৩ আগস্ট সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কমিটি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। প্রাথমিকভাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরবর্তীতে আরো ৯০ কার্যদিবস সময় পায় এ কমিটি।

এর মধ্যে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে ১৩ আগস্ট নিজ থেকেই কোটা নিয়ে কথা বলেন সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তিনি বলেন, আমাদের কমিটির মোটামুটি সুপারিশ হলো- কোটা অলমোস্ট উঠিয়ে দেওয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া। তবে আদালতের একটা ভারডিক্ট আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা প্রতিপালন করতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে এবং যদি খালি থাকে খালি রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার আদালতের কাছে মতামত চাইবে। যদি আদালত এটাকেও ওকে করে দেয় তাহলে কোটা থাকবে না’।

আর যদি আদালত বলেন, ভারডিক্ট দেন যে, না ওই অংশটুকু সংরক্ষিত রাখতে হবে তাহলে ওই অংশটুকু বাদ দিয়ে বাকি সব উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এটা হলো প্রাথমিক সুপারিশ।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, আধা-সরকারি, প্রতিরক্ষা ও জাতীয়করণ হওয়া প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।

পরে বিভিন্ন সময়ে এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করেছে সরকার।

বর্তমানে প্রজাতন্ত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, পশ্চাদপদ জেলাগুলোর জন্য কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংরক্ষিত।

গত ১১ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের আদেশ অগ্রাহ্য করার কোনো সুযোগ নেই। অগ্রাহ্য করা হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষ কোটা বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন।

মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব বলেন, রায় বুঝতে আদালতের মতামত নেওয়া হবে। আদালতের ইনস্ট্রাকশন বা অবজারভেশন আমাদের নির্বাহী বিভাগের জন্য বাইন্ডিং হয়ে যায়। এটাকে আমরা ইগনর করতে পারবো না। যেভাবে লেখা আছে বাইন্ডিংয়ের মতো।

কোটার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসভবন ভাঙচুরসহ অরাজকতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা একেবারে তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবও সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হলো যতদূর সম্ভব কোটা বাদ দিয়ে মেরিটে চলে যাওয়া। এখন আমাদের সময় এসেছে এখন আমরা উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যাবো।

অন্য কোটার মতো পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য জেলা কোটাও চালু করেছিল সরকার।

খুব তাড়াতাড়ি প্রতিবেদন দেওয়া হবে জানিয়ে সচিব বলেন, আমাদের অগ্রগতি জানালাম।

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাহলে কীভাবে এগিয়ে আসবে- জানতে চাইলে বলেন, আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি ওনারা অনেক এগিয়ে গেছেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর