অসৎ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করা হবেঃ প্রধান বিচারপতি


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ এপ্রিল, ২০২২ ৭:১৪ : অপরাহ্ণ 233 Views

বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘অসৎ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করা হবে। আর তাঁদের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো আপস থাকবে না।’

প্রধান বিচারপতি গতকাল শনিবার এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তাঁকে সংবর্ধনা দিতে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি প্রধান বিচারপতি হয়ে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, আমাদের দেশে বেশির ভাগ জুডিশিয়াল (বিচারিক) কর্মকর্তাই সৎ। হাতে গোনা কয়েকজন অসৎ কর্মকর্তার জন্য জুডিশিয়ারি (বিচার বিভাগ) বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে তাঁদের শনাক্ত করব। আর তাঁদের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো আপস থাকবে না।’

ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিচারিক কর্মকর্তাদের প্রতিবছর ‘প্রধান বিচারপতি’ পদক দেওয়া হবে জানিয়ে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এরই মধ্যে আমি একটি কমিটি করে দিয়েছি। যাঁরা ভালো করবেন তাঁদের প্রতিবছর পদক দেওয়া হবে। এ জন্য একটা নীতিমালা করা হয়েছে।’

বিচারকদের পদোন্নতি, পদায়নের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হবে না জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারকদের পোস্টিংয়ের জন্য জ্যেষ্ঠতা এবং যোগ্যতা দেখে পোস্টিং দেব। এই ক্ষেত্রেও আমরা কোনো কমপ্রোমাইজ করব না।’
সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে অধস্তন (নিম্ন) আদালতে বিচারকের পদোন্নতি-পদায়নসহ বদলি চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়। বিচারকদের পদোন্নতি-পদায়ন ও বদলিসংক্রান্ত আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের জিএ (জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কমিটির সভায় যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হয়।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়। জজদের লক্ষ্য হবে জনগণের আস্থা অর্জন করা। বিচারপ্রার্থী মানুষকে যাতে দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরতে না হয়। বেশির ভাগ বিচারপ্রার্থী হয় জমি বন্দক রেখে, না হয় হালের গরু বিক্রি করে অথবা গোলার ধান বিক্রি করে আইনজীবীকে টাকা দেন। এসব বিচারপ্রার্থী জনগণ যদি দিনের পর দিন আদালতে ঘুরতে থাকেন তাহলে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে যাবেন।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘দেশ আজ উন্নয়নের সব সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগও এই উন্নয়নের অংশীদার। আপনারা প্রতিটি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ও বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য মেধা, মনন ও কৌশল প্রয়োগ করবেন। কিভাবে হয়রানিমূলক মামলা কমিয়ে দ্রুত বিচারিক সেবা নিশ্চিত করা যায় তা লক্ষ রাখা বিচারকদের দায়িত্ব।’
আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারী বিচারকের সংখ্যা ৫৪৪ জন, যা মোট বিচারকের ২৮ শতাংশ। এ সংখ্যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!