এই মাত্র পাওয়া :

১০০ শতাংশ হালাল চামড়ায় জুতা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে বাংলাদেশ


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ৩:২৬ : অপরাহ্ণ 786 Views

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে কীভাবে দেশের অর্থনীতির চাকা আরও দ্রুতবেগে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায় সে নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাজ। ঠিক এমন সময়ই দেশের জুতার উৎপাদন খাতে এসেছে উদ্যোক্তাদের জন্য প্রেরণাদায়ক এক সংবাদ। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুতা উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে। যেখানে ওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার ইয়ারবুকের সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় ৩৫ কোটি জোড়ারও বেশি জুতা উৎপাদন করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাত্রার শুরু থেকেই বাংলাদেশে জুতার বিশাল সংগ্রহশালার মধ্যে ভাইব্রেন্টের জুতা সামগ্রী কিংবা লেদার সামগ্রী শতভাগ হালাল প্রাণী তথা গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি। আর এই শতভাগ হালাল পণ্যের সকল গুণাবলীর কারণেই জুতা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ।

সাধারণত শুকরের চামড়া দিয়ে জুতা তৈরিতে খরচ কম হওয়ার কারণে ও উৎপাদন খরচ কমানোর চেষ্টায় বিদেশের অনেক কোম্পনীই জুতায় শুকরের চামড়ার ব্যবহার করে। কিন্তু ভাইব্রেন্টের উৎপাদিত জুতা ও অন্যান্য লেদার সামগ্রী উৎপাদনের কোনো ধাপেই শুকরের চামড়ার ব্যবহার একদমই করে না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জুতার বিশেষত্ব সম্পর্কে ইউএস-বাংলা ফুটওয়্যারের ব্র্যান্ড ভাইব্রেন্ট জানিয়েছে, এই উৎপাদিত বিশাল জুতার মধ্যে সব জুতা হালাল নয়। অর্থাৎ, এখানে সকল চামড়া হালাল প্রাণীর নয়। ভালো মানের জুতা কিংবা হালাল জুতা সামগ্রী পরিধান করলে যেকোনো স্কিনের অসুখ থেকে নিরাপদ থাকা যায় বলে দাবী করা হচ্ছে প্রতিবেদনে। তবে এ ক্ষেত্রে শতভাগ হালাল পণ্যের যাবতীয় গুণাবলীই রয়েছে বাংলাদেশের জুতার উৎপাদনে।

দেশব্যাপী ভাইব্রেন্টের প্রোডাক্ট নিজস্ব ফ্যাক্টরীতে উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি। এখানে কোনো প্রকার পিগ-স্কিন বা শুকরের চামড়া ব্যবহার করা হয় না। মাত্র সাত মাসের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্রে ভাইব্রেন্ট এর শো-রুম স্থাপন করেছে। স্বল্পতম সময়ে গ্রাহকদের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ভাইব্রেন্টসামগ্রী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ২২৫ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক জুতার বাজারে বছরে দেড় হাজার কোটি জোড়া জুতা উৎপাদন করে শীর্ষস্থানে রয়েছে চীন। বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতের অবস্থান রয়েছে দ্বিতীয়তে। তৃতীয় থেকে সপ্তম অবস্থানে থাকা দেশগুলো হলো যথাক্রমে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, পাকিস্তান ও তুরস্ক। বাংলাদেশের নিচে নবম ও দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মেক্সিকো ও থাইল্যান্ড।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর