মূল্য বৃদ্ধির ফলে জ্বালানি বিক্রি করে বিপিসির প্রতি মাসে মুনাফা হবে ২০৫ কোটি টাকা


ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশের সময় :১১ আগস্ট, ২০২২ ৯:৪০ : অপরাহ্ণ 182 Views

মূল্য বৃদ্ধির ফলে জ্বালানি বিক্রি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাসে ২০৫ কোটি টাকা মুনাফা হবে।

বুধবার ঢাকাস্থ বিপিসির লিঁয়াজো অফিসে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ এমন তথ্য জানান।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ডলারের দর যদি অপরিবর্তিত থাকে আর গত মাসের মতো যদি জ্বালানি তেল বিক্রি হয় তাহলে মাসিক মুনাফা হবে ২০৫ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসে ব্যারেল প্রতি ডিজেল ১৩৯.৪৩ ডলারে আমদানি করে অন্যান্য খরচ যোগ করলে লিটার প্রতি দাম হয় ১২২.৩০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়। ফলে ডিজেলে এখনও ৮ টাকা লোকসান হচ্ছে। পেট্রল, অকটেন ও অন্যান্য পণ্য মিলিয়ে মুনাফা হবে। পেট্রলের মুনাফা প্রকাশ না করলেও গত ৮ দিনের গড় হিসেবে অকটেনে লিটার প্রতি ৩৫ টাকা করে মুনাফা হচ্ছে।

এবিএম আজাদ বলেন, বর্তমানে চলতি হিসাবে বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে ৭ হাজার ৭৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এই খাত থেকে আমদানির খরচ মেটানো হয়। গত জুন মাসে ৭ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা এবং জুলাইয়ে আমদানির বিল পরিশোধ করতে হয়েছে ১০ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। আগস্টে আমদানি বিল প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, ৯ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। এই খাতে ২ মাসের আমদানির সমমূল্যের অর্থ রাখতে হয় নিরাপত্তার জন্য। সে হিসাবে ২০ হাজার কোটি টাকা থাকা উচিত, কিন্তু এখন সে পরিমাণ অর্থ নেই। তাই এফডিআর ভেঙে তেলের দাম দিতে হচ্ছে। বিপিসির ব্যাংক হিসাবে ফরেন কারেন্সি ও প্রকল্পের সিডি হিসাবে ২৮৬ কোটি ৭১ লাখ, শেয়ার অফলোড/রিজার্ভ ফান্ডে ১ হাজার ৩৪২ কোটি ৮৭ লাখ, উন্নয়ন তহবিলে ৩৭২ কোটি, অবচয় তহবিলে ৮৬ কোটি ২১ লাখ, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে রয়েছে ১০ হাজার ৭১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার স্থিতি রয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকে জমা রয়েছে ১৯ হাজার ৮৮২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত বিপিসি ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। যার বিপরীতে ওই সময়ে ভর্তুকি বাবদ পাওয়া গেছে ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি থেকে যায় ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকার উপরে। অন্যদিকে ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছর পর্যন্ত ৪২ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে।

এক প্রশ্নের বিপিসি চেয়ারম্যান জবাবে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে এলে অবশ্যই দাম কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

তিনি বলেন, বর্তমানে ৩০ দিনের ডিজেল মজুদ রয়েছে, অন্যদিকে পেট্রল অকটেন রয়েছে ১৯ দিনের মতো। সরবরাহ লাইনে প্রয়োজনীয় যোগান নিশ্চিত রয়েছে সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
July 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!