শিরোনাম: যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত বান্দরবান জেলা আ.লীগ সেক্রেটারি লক্ষ্মীপদ দাশ কারাগারে সুয়ালক হাফেজিয়া এতিমখানা এর শিক্ষার্থীদের সম্মানে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সূর্যমুখী শিশু কিশোর সংগঠন ও যুব উন্নয়ন ফোরাম এর উদ্যোগে ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়লো বান্দরবান সেনা জোন ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই বসতবাড়িঃ তাৎক্ষণিক ছুটে গেলেন জেলা প্রশাসক পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করতে রোয়াংছড়িতে আলোচনা সভা

জনগণ ও ভারসাম্যের বাজেট ২০১৯-২০


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ জুন, ২০১৯ ৪:২৬ : অপরাহ্ণ 575 Views

একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি দেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট।
এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে আগামী বাজেট ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ ও সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ বড়। আগামী ৩০ জুন এই বাজেট পাস হবে।
দেশের মানুষের জন্যই সরকার। আবার সরকারের ক্ষমতার উৎসও এদেশেরই মানুষ।এর আগে দশকজুড়ে বাজেট পেশের অনন্য রেকর্ড গড়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। ফলে অভিজ্ঞ ও বিগত দশক থেকে শিক্ষা গ্রহণকারী এই সরকারের নতুন বাজেট যে ভারসাম্যপূর্ণ হবে, সেটি অনুমান করা গিয়েছিল আগেই। বাস্তবেও তাই ঘটেছে। যথারীতি আশাজাগানো এই বাজেটে রয়েছে উচ্চাভিলাষও। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করলে বলতেই হবে সম্ভাবনাময় আগামীর স্বপ্নের সংকেত আছে এই বাজেটে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেশকিছু
ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রস্তাবনা লক্ষণীয়।
তবে স্তরে স্তরে সূক্ষ্মদৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করলে এ কথা বলতেই হবে যে, দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে সচল রাখার তাগিদে এমন আকারের বাজেট প্রস্তাবনা বিচক্ষণতারই পরিচায়ক।
বাংলাদেশ বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর একটি। আমাদের জাতীয় আয় বাড়ছে, বাড়ছে অর্থনীতির আকারও। বাজেট হচ্ছে কোন সরকারের উন্নয়ন কৌশলের বাস্তবায়নের ভিত্তি। এই বাজেটকে এবারও আমরা ‘করবান্ধব’ হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। করের আওতা বাড়ানোর বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। একই সঙ্গে এটি যে কল্যাণকামী ও সমৃদ্ধির সোপানে অগ্রযাত্রার লক্ষ্যে প্রণীত বাজেট- তাতেও কোন সংশয় নেই। পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার এই বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় হচ্ছে দুই লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। আর অনুন্নয়ন ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা উন্নয়ন খাতে এবার স্মরণকালের সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এটিকে ইতিবাচকভাবে না দেখার কোন কারণ নেই।
বিগত বছরের মতোই আগামী অর্থবছরের বাজেটে একটি লক্ষযোগ্য দিক হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১৪টি বিভিন্ন ভাতার হার বৃদ্ধি। একই সঙ্গে বাড়ছে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও। দারিদ্র্য হ্রাসকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সর্বাধিক। এবার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।

কর্মহীন তথা বেকারদের জন্য সুখবর আছে বাজেটে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করে বেকারত্বের অবসান ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা একটি চমক। করমুক্ত আয়ের সীমা আছে আগের মতোই।
বাজেটের আকার বড় হলেও এই বাজেট বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সজাগ দৃষ্টি সর্বদা বিদ্যমান। এই বাজেটে যেমন ধনীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে, সেইভাবে দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীকেও আশার আলোর প্রতিফলিন দেখানো হয়েছে। এই বাজেট যে জনগণের বাজেট তা বলার আশা রাখে না।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
March 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!