এই মাত্র পাওয়া :

যুব মহিলালীগ নেত্রী ভিআইপি ছিনতাই চক্রের কবলে


প্রকাশের সময় :৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ২:৪৪ : পূর্বাহ্ণ 728 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-রাজধানীর সায়দাবাদে ভিআইপি ছিনতাইচক্রের কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বর্ষা চৌধুরী।ছিনতাইকারীদের হ্যাঁচকা টানে রিকশা থেকে নীচে পড়ে গিয়ে আহতও হয়েছেন তিনি।গত রোববার মধ্যরাতে র‌্যাব-৩ এর কার্যালয়ের অদূরে (সায়েদবাদ বাস স্ট্যান্ডের উল্টোপাশে) এই ঘটনা ঘটে। আজ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে আটক করতে পারেনি।উদ্ধার করতে পারেননি তারা খোয়া যাওয়া মালামালও।বর্ষা চৌধুরীর অভিযোগ,ঘটনার পর থানায় গিয়ে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার এবং মালামাল উদ্ধারে পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ সহযোগীতা পাননি তিনি।ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানালেও পুলিশ তার কাছ থেকে হারানোর বিষয়ক সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর-১২৫) লিখিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন সংগীতশিল্পী ও ফ্যাশন ডিজাইনার বর্ষা।বর্ষা জানান,তিনি সপরিবারে যাত্রাবাড়িতে থাকেন।ঈদের পরের দিন রাত ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন।সায়েদবাদ বাস স্ট্যান্ডের উল্টোপাশে ফ্লাইওভারের নীচে আসতেই হঠাৎ একটি সাদা রঙের চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে এক যুবক শরীরের অর্ধাংশ বের করে বর্ষার কাধে ঝুলানো ব্যাগটিতে হ্যাঁচকা টান দেয়।এতে তিনি রিকশা থেকে নীচে পড়ে গেলেও ছিনতাইকারী যুবক ব্যাগ ছাড়েনি।একপর্যায়ে হাতল ছিড়ে ৩টি দামী মোবাইল ফোন,৪ হাজার ৮শ টাকা ও মূল্যবান কাগজসহ ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।পরে স্থানীয়দের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর অভিযোগ জানাতে যাত্রাবাড়ি থানায় যান তিনি।তিনি আরও জানান,রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি যখন থানায় যান তখন আরও দুজন মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু দায়িত্বরত দু’জন পুলিশ সস্য ভুক্তভোগী তিনজনকেই বলেন, ‘জিডি-মামলা লেখার কেউ নেই। রাতে এসব কিছুই নেয়া যাবে না। আপনারা কালকে অথবা পরশু আসেন।’ রাজনৈতিক পরিচয় দেয়া হলেও বর্ষার অভিযোগ আমলেই নেয়নি ওই দুই পুলিশ সস্য। একপর্যায়ে শুভাকাংঙ্খি হয়ে বর্ষার পূর্ব পরিচিত অন্য এক পুলিশ সদস্য (এসআই রাজ্জাক) এসে বলেন, ‘আমিতো জিডি লিখি না,তারপরও আপনি যখন এসেছেন লিখে দিচ্ছি।পরে তিনি নিজেই জিডি লিখে তাতে বর্ষার স্বাক্ষর নিয়ে নেন।জিডি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই মো,আজিজকে।জিডিতে যা উল্লেখ করা হয় তার সারমর্ম হল-এইচটিসি মোবাইলসহ আমার (বর্ষা) কিছু জিনিসপত্র হারিয়ে গেছে,অনেক খোঁজাখুজির পরও তা পাওয়া যায়নি বিধায় জিডি করা প্রয়োজন।বর্ষা ভাগ্যক্রমে ছিনতাইয়ের অভিযোগ হারানোর জিডি হিসেবে করাতে পারলেও থানায় আসা ভুক্তভোগী অন্য দু’জন মামলা-জিডি কিছুই করাতে পারেননি।বর্ষার আগেই থানা ত্যাগ করেন তারা।আক্ষেপ করে বর্ষা চৌধুরী বলেন,কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হয়েও একটি ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগ জানাতে পারলাম না।ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিচ্ছে হারানোর ঘটনা হিসেবে।সেই জিডি নিতেও গড়িমশি ভাব দেখিয়েছে পুলিশ।অভিযোগ জানাতে না পেরে ফিরে যেতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।এটা নিষ্ঠাবান পুলিশ সদস্যদের কাছে কোনওভাবেই প্রত্যাশীত নয়।ছিনকারী গ্রেপ্তার এবং মালামাল উদ্ধার দুরে থাক এখন পর্যন্ত জিডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার কোনও খোঁজই নিল না। বিষয়টি জানাতে একাধিকবার আমি থানার ওসিকে ফোন দিয়েছি,তিনিও সাড়া দেননি।তাহলে এই জিডির ভবিষ্যত কি?প্রশ্ন রাখেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী বর্ষা চৌধুরী।সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অর্থাৎ ঘটনার ২০ ঘণ্টা পর কথা হয় বর্ষার মালামাল হারানো বিষয়ক জিডির তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ি থানার এসআই মো.আজিজের সঙ্গে। তিনি বলেন,আমাকে হারানো বিষয়ক একটি জিডির (১২৫ নম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি।তবে ঈদের ঝামেলার কারণে এখনও জিডির কপি হাতে পায়নি।কোনও প্রগ্রেস হলে জানাবো বলেই লাইনটি কেটে দেন তিনি।(((জুম বাংলা)))

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2025
MTWTFSS
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!