এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

৪৪ হাজার পরিবারকে দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :৮ নভেম্বর, ২০১৯ ৯:০৯ : অপরাহ্ণ 782 Views

বাংলাদেশে দারিদ্র্যতার সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারের গত দশ বছরে নেয়া নানা উদ্যোগ গ্রহণ আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে দারিদ্র্যতা বিমোচন ঘটছে দ্রুত।বিশ্বের সামনে দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশ যে এক অনুকরণীয় অবস্থানে পৌঁছেছে,তার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করেছে বহুমাত্রিক সংস্থা বিশ্বব্যাংক।তারা বলছে, বিশ্বের অন্য উন্নয়নশীল দেশের উচিত কীভাবে দারিদ্র্যতা দূর করতে হয়,তা বাংলাদেশের কাছ থেকে শেখা।টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশটি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে।

বাংলাদেশের এই ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ জাতিসংঘকেও বিস্মিত করেছে।দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এলেও দারিদ্র্যতা দূরীকরণ এখনও সরকারের মূল লক্ষ্য।এই বিপুলসংখ্যক মানুষের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উন্নতির ধারা বজায় রাখতে হবে আগামী সাত থেকে দশ বছর, তবেই দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে দশ ভাগের নিচে।এদিকে সরকার ৪৪ হাজারের বেশি দুস্থ পরিবারকে দারিদ্র্যতা থেকে উত্তরণের উদ্যোগ নিয়েছে।এসব পরিবারের প্রধান হচ্ছেন নারী।পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত করে এই নারীদের বর্তমান অতি দারিদ্র্য অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হবে।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশের ৮ বিভাগের ৬৪ জেলার ৪৮১টি উপজেলার ৪৪ হাজার ৪৬০টি দুস্থ পরিবারকে অতি দারিদ্র্য অবস্থা থেকে উত্তরণে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। ‘পল্লি কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৩’ বা আরইআরএমপি-৩ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।১ হাজার ৭২৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়,দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ বাজার ও সার্ভিস সেন্টার সংযোগকারী ৮৮ হাজার ৯২০ কিলোমিটার পল্লী সড়ক বছরব্যাপী রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী রাখা হবে।আর এই কাজে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে এই নারীদের অতি দরিদ্র অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটানো হবে।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সূত্র আরও জানায়,পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে,প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে পল্লী সড়কগুলো সারাবছর চলাচল উপযোগী থাকবে।এতে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি প্রকল্প এলাকার সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত হবে।এর ফলে কৃষিজাত পণ্যের বাজারজাতকরণে সুবিধা এবং গ্রামীণ জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে,যা দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক হবে।সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রায় ১২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি,দারিদ্র্যের হার ৬ দশমিক ২ শতাংশ কমিয়ে আনা এবং চরম দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেই সরকার এ ধরনের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।তিনি জানান, ‘প্রকল্পটি লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।এটি বাস্তবায়িত হলে এসব দুস্থ পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে।’ এর মাধ্যমে এসব দুস্থ পরিবারের প্রধান নারীদের বছরব্যাপী কর্মসংস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হবে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!