শিরোনাম: ক্রীড়া উন্নয়ন ফোরামের শুভেচ্ছা উপহার পেলো প্রাথমিক ফুটবলের ক্ষুধে জেলা চ্যাম্পিয়নরা শীতার্থদের মাঝে ত্রিবেণী লেডিস ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরন প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বান্দরবানের প্রাচীন বৌদ্ধ অনাথালয় পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড.এম সাখাওয়াত নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বান্দরবানের ম্যারাথন ভিত্তিক প্রথম কমিউনিটি বান্দরবান হিল রানার্স খেলাধূলার পাশাপাশি পড়াশোনার প্রতিও শিক্ষার্থীদের মনযোগী হতে হবেঃ ডিসি শামীম আরা রিনি বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

১ কোটির পর এবার আরও ৫০ লাখ পরিবার ত্রাণ পাবে


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ মে, ২০২০ ৯:২০ : অপরাহ্ণ 386 Views

করোনাভাইরাসের কারণে মানবিক দুর্যোগ শুরুর পর গত ২৪ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি পরিবারকে ত্রাণসহায়তা দিয়েছে সরকার। জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ মহানগর ও সিটি করপোরেশন এলাকা বেশি ত্রাণ পেয়েছে। এত দিন ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হলেও এখন ত্রাণের পরিমাণ বাড়িয়ে চলতি মাসে আরও ৫০ লাখ পরিবারকে ২০ কেজি করে (মাসে একবার) চাল দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি এসব পরিবারকে দেওয়া হবে নগদ সহায়তাও।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, আগামী বৃহস্পতিবার এই কার্যক্রম শুরু হবে। যদিও উপকারভোগীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ৩৪ লাখ পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। তথ্যে ঘাটতি ও অসংগতি থাকায় ১৬ লাখের তালিকা গতকাল দুপুর পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। এই তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় আগের মতো ত্রাণ দিতে গতকাল আরও ১০ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন ত্রাণ বরাদ্দ করেছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ১৬ লাখের তালিকাও খুব তাড়াতাড়ি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। অনিয়ম ঠেকাতে এবার উপকারভোগীদের নামে করা ডিজিটাল কার্ডের ভিত্তিতে এই সহায়তা দেওয়া হবে। এ জন্যই তালিকা করতে কিছু সময় লাগছে।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। একই সঙ্গে সারা দেশে লকডাউন (অবরুদ্ধ) পরিস্থিতি শুরু হয়। ফলে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন গরিব ও শ্রমজীবী মানুষ। এ জন্য এসব লোককে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা অব্যাহত আছে।

 

মহানগর ও সিটি এলাকায় ত্রাণ বেশি

ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৯৭৭টি পরিবারকে (৪ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ) ত্রাণসহায়তা দিয়েছে সরকার। ৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়। গত রোববার পর্যন্ত সারা দেশে চাল বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন।

এ ছাড়া প্রায় ৩ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার মানুষকে দেওয়া হয়েছে ৫১ কোটি ৬৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা। যদিও নগদ টাকা বরাদ্দ আছে প্রায় ৮০ কোটি। আর শিশুখাদ্যসহায়তা হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি পৌনে ১০ লাখ টাকা। এতে উপকারভোগী মানুষ প্রায় ৭ লাখ ৮৯ হাজার।

ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, মহানগরসহ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ (সিটিসহ), চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, জামালপুর, সাতক্ষীরা জেলায় বেশি ত্রাণ গেছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী জনসংখ্যা ও দরিদ্র মানুষ বিবেচনায় ত্রাণ দেওয়া হয়।

এত দিন ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হতো। এর সঙ্গে নগদ বরাদ্দ থেকে কিনে ডাল, তেল, আলুও দেওয়া হতো। এত দিন কেউ কেউ একাধিকবার সহায়তা পেয়েছেন। কেউ কেউ সরকারের অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধা পেলেও ত্রাণের সুবিধাও নিয়েছেন। এতে আবার কেউ কেউ প্রয়োজন থাকলেও পাননি। এমন বাস্তবতায় সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, উপকারভোগীর নাম সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্যভান্ডার করে কার্ডের ভিত্তিতে এ মাসে ৫০ লাখ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। যাঁরা সরকারের অন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁদের বাদ রেখে অন্যদের এই ত্রাণের সুবিধা দেওয়া হবে। এই ২০ কেজি চালের পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে নগদ আড়াই হাজার টাকাও দেওয়া হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, এই ৫০ লাখ পরিবারের তালিকা করে ৩ মের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে মাঠ প্রশাসনকে বলা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত ১৬ লাখ পরিবারের কারও মোবাইল বা ঠিকানা ঠিকমতো না থাকাসহ অন্যান্য কিছু অসংগতি থাকায় পুরো তালিকাটি চূড়ান্ত হয়নি। সেটি সংশোধন হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামাল গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এই ৫০ লাখ পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম ১৪ মে শুরু হবে।

পাঁচ এলাকা পাবে বেশি ত্রাণ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাঠপর্যায়ের তথ্য, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য, জনসংখ্যা, দারিদ্র্যের হার, সম্পদের প্রাপ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে কোন জেলায় কত পরিবার ত্রাণ পাবে, সেই সংখ্যাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সংখ্যার ভিত্তিতে উপকারভোগী পরিবার বাছাই করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, জামালপুর, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার প্রতিটিতে এক লাখ করে পরিবার এই সুবিধা পাবে। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ জেলার প্রতিটিতে ৯০ হাজার পরিবার এই সহায়তা পাবে। গাজীপুর, রাজশাহী ও রংপুর জেলা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিটিতে ৮০ হাজার পরিবার এই সুবিধা পাবে। তালিকায় ৭৫ হাজার করে পরিবার আছে ফরিদপুর, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নওগাঁ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলায়। নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলার একেকটিতে ৭৭ হাজার পরিবার এই সহায়তা পাবে। বাকি এলাকাগুলোতে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ৭২ হাজার পর্যন্ত পরিবার রয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
February 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!