এই মাত্র পাওয়া :

রাত ৮টায় দোকান বন্ধে সাশ্রয় হবে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২০ জুন, ২০২২ ১১:২৬ : অপরাহ্ণ 395 Views

রাত আটটায় দোকান বন্ধের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এতে অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। তবে এখনও এই হিসাব পাকাপোক্ত নয়। ঢাকার দুই বিতরণ কোম্পানি বাণিজ্যিক গ্রাহকদের লোড হিসাব করছে। দুই একদিনের মধ্যে হিসাব চূড়ান্ত করা যাবে বলে আশা করছে তারা।

এ প্রসঙ্গে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমরা মনে করছি এতে অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। মার্কেটগুলোতে বড় বড় এসি চলে। লাইটও জ্বালানো হয়। রাত আটটার পর যদি এগুলো বন্ধ করা যায় তাহলে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম প্রয়োজন হবে।

তিনি বলেন, সন্ধ্যায় বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার সময় আমাদের তেলভিত্তিক বেশি দামের বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে হয়। জ্বালানিও বেশি খরচ হয়। ফলে রাত আটটায় সব বন্ধ রাখলে বিপুল পরিমাণ অর্থের সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

রবিবার সারা দেশে দিনের বেলা (পিক ডিমান্ড) চাহিদা ছিল ৯ হাজার ৯৭৮ মেগাওয়াট। আর রাতে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় তা বেড়ে হয়েছিল ১১ হাজার ৮৫০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ প্রকৃত এই উৎপাদন দিনের তুলনায় রাতে বেড়ে হয়েছিল ১ হাজার ৮৭২ মেগাওয়াট।

দিনে অফিস-আদালত চললেও রাতে সেগুলো বন্ধ হয়। আবার ওই সময়ে বাসাবাড়িতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। ফলে আলাদা করে কোনও গ্রাহক কী পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন তা বের করা জটিল ও সময় সাপেক্ষ। দোকান এবং বিপণি বিতানগুলো যেমন বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়, একইভাবে মার্কেট এবং বিপণি বিতানগুলোও বাণিজ্যিক সংযোগ নেয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, রাজধানী ঢাকাতে আবাসিক বাসাবাড়িতেও বাণিজ্যিক দোকান রয়েছে। এত লাখ লাখ সংযোগের মধ্য থেকে বেছে বের করাটা সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে সাশ্রয় তো হবেই। ব্যবহার বন্ধ করলে সাশ্রয় না হাওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে এর জন্য কী প্রভাব পড়ছে তা জানতে আরও দুই-একদিন অপেক্ষা করতে হবে।

জানতে চাইলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি-ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, আমরা হিসাব করছি কী পরিমাণ সাশ্রয় হবে। এজন্য একটি টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

একই কথা বলেছেন ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী আরেক সংস্থা ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আমির আলি। তিনি বলেন, আমরা দোকানদারদের উদ্বুদ্ধ করছি যেন তারা ৮টার মধ্যে দোকান বন্ধ করেন। এতে কী পরিমাণ সাশ্রয় হবে তাও আমরা হিসাব করে দেখছি। তবে সেই হিসাব এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকার রাত ৮টায় দোকান বন্ধের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আজ এ বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দোকান মালিক সমিতি বৈঠক করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগও চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠকে বসবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর