![](https://www.chttimes.com/wp-content/uploads/2021/12/IMG_20211222_134145-scaled.jpg)
![](https://www.chttimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নারী ও শিশুদের প্রতি ধর্ষণ ও পারিবারিক সহিংসতাসহ অন্যান্য সহিংসতা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভাবনা শীর্ষক সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার সকালে বেসরকারি এনজিও সংস্থা বিএনকেএস এর হলরুমে উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও সিডা’র সহযোগিতায় বিএনকেএস কতৃক বাস্তবায়িত “জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবেলা কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত হয়।বান্দরবান জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিএনকেএস এর সভানেত্রী নেমকিম বম এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পাইমংথুই মারমা রাজুমং।এসময় বিএনকেএস এর জিবিভি প্রকল্পের প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর উবানু মারমা’র সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিএনকেএস এর কর্মসূচি পরিচালক পেশল চাকমা,ম্যানেজার ক্যবাথোয়াই মারমা,বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক,জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অংচমং মার্মা,জিবিভি প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার মুমু রাখাইন সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।জিবিভি কর্ম এলাকা ও বান্দরবানের সহিংসতা চিত্র এবং প্রকল্পের অর্জিত সাফল্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন প্রকল্প কর্মকর্তা মুমু রাখাইন।সভায় বক্তারা বান্দরবান সদর উপজেলায় বিএনকেএস এর জিবিভি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার ফলে কুহালং ও সুয়ালক ইউনিয়নে নারী ও শিশুর প্রতি পারিবারিক সহিংসতা পুর্বের তুলনায় অনেকাংশে কমেছে বলে জানানো হয়।তবে খেয়াং কমিউনিটি অধ্যুষিত এলাকা সমূহে বাল্যবিবাহ ও সহিংসতা প্রতিরোধে আরো বেশি সচেতনতার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বলে জানান।এছাড়াও সভায় নারী ও শিশুদের প্রতি ঘটে যাওয়া নানা সহিংসতার চিত্র তুলে ধরা হয়।সভায় ওসিসি”র তথ্য উদ্ধৃতি করে বিএনকেএস জানায়, “জানুয়ারি-২০২১ থেকে আগস্ট-২০২১ ও সেপ্টেম্বর-২০২১ থেকে নভেম্বর-২০২১ সময়কালে সর্বমোট ৩০৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণ,শারীরিক নির্যাতন,মানসিক নির্যাতন,অর্থনৈতিক নির্যাতন,যৌন নির্যাতন সহ নানা সহিংসতার স্বীকার হয়েছেন”।