![](https://www.chttimes.com/wp-content/uploads/2017/06/IMG_20170614_212958.jpg)
![](https://www.chttimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবান শহরের কাছে লেমু ঝিড়ি আমতল ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়া মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সেনাবাহিনী,দমকল বাহিনী ও স্থানীয় লোকজন তল্লাশি চালিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে।মঙ্গলবার ভোররাতে প্রবল বৃষ্টির সময় লেমু ঝিড়ি আমতল ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে কৃষক মো.আজিজুর রহমানের স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম (৪০) ও তার ৭ বছরের মেয়ে সুখিয়া বেগম মাটি চাপা পড়ে।এরপর তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।দুদিন টানা তল্লাশির পর লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।বান্দরবান দমকল বাহিনীর স্টেশন মাস্টার তরিকুল ইসলাম জানান,মঙ্গলবার ভোর থেকেই তল্লাশি চালানো হয়।পরে বুধবার সকালে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুপুরে বান্দরবানের পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।পরে তিনি শহরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।এ সময় তার সাথে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা,জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক,পুলিশ সুপার সজ্ঞিত কুমার রায় প্রমুখ।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বান্দরবানের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।শহরের ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র থেকে লোকজন তাদের বসতবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।বান্দরবানের সাংঙ্গু,মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি কমতে থাকায় জেলা সদরের সাথে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে।এছাড়া রুমা রোয়াংছড়ি ও থানছি উপজেলার সাথেও বন্ধ থাকা সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে।
তবে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।বান্দরবানের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনী,জেলা পরিষদ,জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে।এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ হতে।উল্লেখ্য মঙ্গলবার ভোররাতে প্রবল বর্ষণের সময় বান্দরবানে পৃথক তিনটি স্থানে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ভাই বোন ৩ শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়।