শিরোনাম: পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত: ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান ৫০ চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার ও দেড় শতাধিক চশমা বিতরন এনসিপি কতৃক অনিয়ম দেখলেই ফোন করার আহবান জানালেন জেলা আহবায়ক মংসা প্রু দেশে ফিরেই এভার কেয়ার হাসপাতালে ছুটে গেলেন ডা.জোবাইদা রহমান অবৈধ ইটভাটায় লামা উপজেলা প্রশাসনের অভিযান পূজা উদযাপন ফ্রন্টের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়া’র রোগমুক্তি কামনায় প্রার্থনা সভা জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার ও শীতবস্ত্র বিতরন বান্দরবানে নানা আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র ২৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত


প্রকাশের সময় :১৩ জুন, ২০১৭ ১১:৫৭ : অপরাহ্ণ 580 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।জেলা শহরের এক তৃতীয়াংশ এলাকা এখন পানিতে তলিয়ে রয়েছে।পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার সাঙ্গু নদীর পানি এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।অন্য দুটি নদী মাতামুহুরি ও বাকখালীর পানিরও একই অবস্থা।জেলা শহরের আর্মি পাড়া,মেম্বার পাড়া,ওয়াপদা ব্রিজ,কাশেম পাড়া,সুইচ গেটসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পরেছে।জেলা মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ অফিস সূত্রে জানা গেছে,গত দুদিনে জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩০৮ মিলিমিটার।শহরে খোলা হয়েছে ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র।এতে ২৬শ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর কাউন্সিলর দিলীপ বড়ুয়া।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোঃমাকসুদ চৌধুরী জানান মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসন,সেনাবাহিনী প্রশাসন, জেলা পরিষদ পৌরসভা জরুরি বৈঠক করেছে।এতে সম্মিলিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সাহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার পরিবারের জন্য খিচুড়ি,শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে।এদিকে আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে এখন তিল পরিমান ঠাঁই নেই।শহরের মডেল প্রাইমারি উজানিপাড়া স্কুল,শহর স্কুলসহ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে সেখানে এখনো প্রশাসনের পক্ষ হতে কোনো সহায়তা দেয়া হয়নি।আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত থাকার ব্যবস্থাও নেই।গাদাগাদি করে দিনযাপন করছে শিশু,মহিলা ও বৃদ্ধরা।শহর প্রাথমিক স্কুলে আশ্রয় নেয়া আর্মি পাড়ার বাসিন্দা নুরুল আলম জানান,দুদিন ধরে খুব কষ্ঠে পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।কিন্তু কেউ তাদের দেখতে আসেনি।মেম্বার পাড়ার আসমা বেগম জানান আশ্রয় কেন্দ্রে রুম খুলে দেয়ার কথা বলা হলেও পর্যাপ্ত রুম নেই।দুই তিনটি রুমে এত মানুষ কীভাবে থাকবে। একই অভিযোগ অন্যসব আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে।এদিকে বিকেলে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নিচু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।শহরের কাছে লেমুঝিড়ি আমতল ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পরা মা মেয়ের লাশ এখনো উদ্ধার করা যায়নি।তবে সেখান থেকে বেশ কিছু মৃত গরু ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে।সেনাবাহিনী,দমকল বাহিনী এখনো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।দমকল বাহিনীর সহকারী স্টেশন কর্মকর্তা স্বপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন সকাল থেকে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে লাশ দুটি এখনো পাওয়া যায়নি।পাহাড়ের মাটি ধসে ব্যাপক এলাকায় ছড়িয়ে পরায় লাশ দুটি ঠিক কোথায় রয়েছে তা সঠিকভাবে বলাও যাচ্ছে না।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 
আলোচিত খবর