বান্দরবান উপজেলাকে যুক্ত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নির্মিত আলীকদম-থানচি সড়ক।এখন অবধি এটিই দেশে যানচলাচলে সক্ষম সর্বোচ্চ সড়ক।এমন উঁচু-নিচু ভয়ংকর পথেই ম্যারাথন আয়োজন করে চট্টগ্রামের পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’।
‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স হিল ম্যারাথন ২০২৩’ এর এই আয়োজনে দুই ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছে প্রায় ৩০০ প্রতিযোগী।ম্যারাথনের প্রতিযোগীরা আলীকদমের পান বাজার থেকে যাত্রা শুরু করে ডিম পাহাড় ছুঁয়ে ফের পান বাজার অবধি দৌড়েছেন।সদ্য কৈশোর পেরোনো তরুণদের সাথে ষাটোর্ধ ব্যক্তিরাও অংশগ্রহণ করেছেন।এই আয়োজনের মূল শ্লোগান ছিল ‘হিল দ্য হিলস’ অর্থাৎ পাহাড় ধ্বংস বন্ধ করো।প্রতিযোগিতার আয়োজনে কোথাও ব্যবহার হয়নি কোন প্লাস্টিক, যা এই আয়োজনকে পরিণত করেছে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব আয়োজনে।
ম্যারাথন তথা ৪২.২ কি. মি.-তে পুরুষ ক্যাটাগরি-তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো. রাজন মিয়া এবং নারী ক্যাটাগরি-তে প্রথম হয়েছেন মৌসুমি আক্তার এপি।২৫ কি. মি.-তে পুরুষ ক্যাটাগরি-তে প্রথম হয়েছেন ফাহিম মোহাম্মদ আরমান এবং নারী ক্যাটাগরি-তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন পারুল দাস।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম সেনা জোনের কমান্ডার লে. কর্নেল মো. সাব্বির হাসান।এসময় তিনি বলেন, ‘বর্তমান যুগে নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যে কয়টি খেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তার মধ্যে ম্যারাথন দৌড় একটি।এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো এর জন্য আলাদা মাঠ কিংবা খুব বেশি উপকরণ প্রয়োজন নেই।ভালো এক জোড়া জুতো হলেই চলে।’
এবিষয়ে রেস ডিরেক্টর ফরহান জামান বলেন, ‘এই রকম চ্যালেঞ্জিং একটা রুটে দৌড়ানোর সুযোগ প্রতিদিন মেলে না। যারা এই চ্যালেঞ্জটাকে নিয়েছেন, তাদের সবাই নিঃসন্দেহে দারুণ দৌড়বিদ। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা নিয়মিত এমন আয়োজন করতে চাই।’
এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন সিআরইউ, স্টার মেজবান,খানকাহ গ্রুপ,আই’স অন বাংলাদেশ,ভিজুয়াল নিটওয়ার লিমিটেড।এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে আলীকদম শিশু সদনের প্রায় ৪০ জন ছাত্র এবং আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রদান করে চিকিৎসা সুবিধা। এছাড়াও ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিতে ছিল ক্যানভাস অফ কালার,নভেম্বর ব্লু,মাস্তুল প্রোডাকশন ও মাল্টিভশনের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান।সবুজ আয়োজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছিল কিচিরমিচির ক্রিয়েশন্স।গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি এই প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন হয়।