শিরোনাম: খেলোয়াড় সমিতি গোল্ডকাপঃ চমকে দিলো জিটিএল কালাঘাটা ফুটবল দল বান্দরবানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তী উদযাপিত বান্দরবানে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন নবাগত রিজিয়ন কমান্ডার খেলোয়াড় সমিতি গোল্ডকাপঃ দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রেন্ডস ক্লাব অব বান্দরবান বান্দরবানে নারী নেত্রীদের সাথে নাটাব এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইউএনওদের মুখ্য নির্বাহী হওয়ার বিধান বাতিলঃ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ খেলোয়াড় সমিতি গোল্ডকাপঃ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো মধ্যম পাড়া একাদশ খেলোয়াড় সমিতি গোল্ডকাপঃ ট্রাইবেকারে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো লোহাগাড়া যুব ফুটবল একাদশ

দুর্গতদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মনে হচ্ছিলো যুদ্ধ জয় করেছি


প্রকাশের সময় :৩০ জুন, ২০১৭ ১:১৮ : অপরাহ্ণ 583 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-পাহাড় ধসে মৃত্যুর মিছিলে চাপা পড়েছে রাঙামাটির মানুষের ঈদের আনন্দ।বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে কেটেছে তাদের অন্য রকম ঈদ।পাহাড় ধসে সব হারানো এসব মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে বিভিন্ন অাশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিলেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন বয়সী ছেলে-মেয়ে।তাদেরই একজন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাইয়াজ ইকবাল।পরিবার,আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব ছাড়া একেবারে ভিন্ন পরিবেশে এবার নিজের ঈদ উযাপনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের ঈদুল ফিতর ছিলো আমার জন্য সবচেয়ে স্মরণীয় ঈদ।শুধু আমারই নয় আমার সঙ্গে যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলো তাদের সবার জন্যই এই ঈদ ছিল অন্যরকম।’ গত ১৩ জুন টানা বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধস হয়।এতে রাঙামাটির বেশিরভাগ পরিবার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।রাঙামাটিতে এই পাহাড় ধসের কারণে প্রায় ১২০ জন মানুষ প্রাণ হারান।অন্যদিকে অনেক পাহাড়ি-বাঙালি তাদের ঘর হারান।ঝুকিপূর্ণ ও ধসে যাওয়া ঘর ছেড়ে অনেক মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়। এমনই একটি আশ্রয় কেন্দ্র রাঙামাটি টেলিভিশন সেন্টার।সেখানে প্রায় ২৩১ জন মানুষ আশ্রয় নেন।যার মধ্যে ২০৩ জন বাঙালি ও ২৮ জন পাহাড়ি।রাঙামাটির বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।কিন্তু তাদের দেখাশুনা করার মত এত জনবল না থাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের দরকার হয়। তাই প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্রে অনেক স্বেচ্ছাসেবক যোগ দেয়।ফাইয়াজ ইকবাল বলেন,দুর্গত মানুষদের সাহায্য করার জন্য আমি আর আমার ছোট ভাই রাঙামাটি টেলিভিশন আশ্রয় সেন্টারে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যোগদান করি। রোজার দিনগুলোতে আমরা সবাই মিলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছি।যেহেতু এতদিন ধরে কাজ করেছি তাই তাদের প্রতি অন্যরকম ভালবাসা এবং মায়া সৃষ্টি হয়ে যায়।তাই ঈদের দিনও দুর্গত মানুষের থেকে দূরে থাকতে পারলাম না।ঈদটা তাদের সঙ্গেই উদযাপন করলাম।ফাইয়াজ বলেন,আমাদের মত স্কুল কলেজের ছেলেরা সাধারণত তাদের বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হাসি আনন্দে ঈদ কাটাতে চায়।কিন্তু আশ্রয় কেন্দ্রের অসহায় মানুষদের ছেড়ে ঈদ করতে একদমই ভালো লাগছিলো না।তাই আমার ঈদের দিনটা আমি তাদের জন্য উৎসর্গ করে দিলাম।এই ঈদ আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দদায়ক ঈদ ছিলো।আশ্রয়হীন এসব মানুষের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে মনে এক অন্যরকম শান্তি পেয়েছিলাম।তাদেরকে সাহায্য করে,তাদেরকে খাবার বিতরণ করে,তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মনে হচ্ছিল যুদ্ধ জয় করে ফেলেছি।ভালো লাগছে জীবনের প্রথমবার অল্প সময়ের জন্য হলেও কিছু অসহায় মানুষদের মুখে স্বস্তির হাসি ফোটাতে পেরে।জীবনে এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে?

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2023
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!