এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

চালের দাম বাড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ৮:০১ : পূর্বাহ্ণ 593 Views

চালের দাম আর বাড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘চালের দাম যাতে আর না বাড়ে- সে বিষয়ে চালকল মালিকদের (মিলার) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি চালের দাম আর বাড়বে না। যেহেতু আমাদের ধান উৎপাদন ভালো হয়েছে। সর্বকালের সর্বোচ্চ চাল মজুদ রয়েছে।’

রোববার (১ ডিসেম্বর) খাদ্য অধিদফতরে চালকল মালিকদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। বাজারে চালের মূল্য বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ওমর ফারুক, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমসহ মিল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

চালের দাম নিয়ে পেঁয়াজের মতো কেলেংকারির আশঙ্কা করছেন কিনা- জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘না, এ রকম আশঙ্কা নেই। একটা জিনিস মনে রাখেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মজুদ কিন্তু আমাদের কাছে আছে। বাজার কন্ট্রোল করার জন্য ওএমএস ডিলার রাখা আছে, তাদের ৩০ টাকা দলে চাল নেয়াতে পারছি না। তারা সাহস করতে পারছেন না। আমার কাছে ৫ বছরের সরু চালের রেট আছে। যখন কৃষকরা দাম পাচ্ছে না, তখন ৫০০/৬০০ টাকা দরে ধান কিনে যে চালের রেট, সেই রেটের সঙ্গে সব সময়ের রেট ধরলে হবে না। তখন তো আপনারাই লিখেছেন, কৃষক দাম পাচ্ছে না। ওই রেট সব সময় থাকলে তো কৃষক জীবনেও দাম পাবে না।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে সরু চাল ছিল ৪৪ টাকা ৫২ পয়সা। ২০১৫ সালে ৪২ টাকা ৮৩ পয়সা, ২০১৬ সালে ৪৬ টাকা ৬৯ পয়সা, ২০১৭ সালে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে হয়েছে ৫৭/৫৮ টাকা। ২০১৮ সালে ৫১ টাকা ১০ পয়সা, আর আজকে রেট হল ৫১ টাকা ১১ পয়সা।

গত এক মাসে কেজিতে ৬/৭ টাকা বাড়ল, এটাকে আপনারা স্বাভাবিক মনে করছেন কিনা- এ বিষয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, ‘আমি ব্যাখ্যাটা দিয়েছি। যখন ৫০০-৭০০ টাকা ধানের দাম ছিল, সেই ধান ভাঙিয়ে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ছিল। সেই ধানটা এখন কৃষক ৮০০/৯০০/১০০০ টাকায় বিক্রি করছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কষ্ট হল, কৃষক দাম না পেলেও যেমন আমাদের কষ্ট হয়, তেমনটি কৃষক দাম বেশি পেলে ভোক্তাদের চালের দাম বেড়ে যায়, তখনও কষ্ট হয়।’

সবাই সরু চালের ভাত খাওয়ায় সরু চালের উপর চাপ বেড়ে গেছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ কারণেই ধানের দাম বেড়েছে। আমরা তো চাচ্ছিলামও ধানের দামটা বাড়ুক। ধানের দাম বাড়ায় দামটা কৃষক পাচ্ছে। আমাদের এখন সরু ধান উৎপাদন করতে হবে। আমাদের রুচি পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাষ ব্যবস্থা পরিবর্তন হয়নি। সেটা পরিবর্তন করার জন্য সুপারিশ করেছি, বিভিন্ন জায়গায় আমরা মিটিং করে বলেছি। এখন আমন কাটা শুরু হয়েছে। ধান উঠে যাবে, তাই ম্যাসিভ রকম দাম বাড়ার অবস্থা আর নেই।

সারা দেশে ২০০টি ধানের সাইলো নির্মাণের প্রকল্পটি এখন পরিকল্পনা কমিশনের রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামনের সপ্তাহে পরিকল্পনা কমিশনে মিটিং হবে, এরপর একনেকে যাবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্যাডি সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে, আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি। তখন এর উপকার পাওয়া যাবে।’

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!