এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: নানা আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস বান্দরবানের লামা উপজেলা ওলামা দলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা নানা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে বান্দরবানে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণঃ পুলিশের জালে ধর্ষক রাসেল বড়ুয়া বান্দরবানে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছেঃ কাজী মো.মজিবর রহমান বান্দরবানে শেষ হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রবারণা পূর্ণিমা বান্দরবানে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত শান্তি,সম্প্রীতি সর্বোপরি ভ্রাতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠুক বান্দরবানঃ লে.কর্নেল হুমায়ুন রশীদ,পিএসসি

গণতন্ত্রের মানস কন্যার একটি ইতিহাস ও গণতন্ত্র মুক্তি


সিএইচটি টাইমস রিপোর্ট প্রকাশের সময় :৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ৯:৩৯ : অপরাহ্ণ 654 Views

৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস বা গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। ২৯ বছর আগে ১৯৯০ সালের এ দিনে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন স্বৈরাচার এরশাদ। প্রবল আন্দোলনের সামনে পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তার ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। দ্বিতীয়বার গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনটিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করে। জনসাধারণের কাছে দিনটি পরিচিতি পায় ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ হিসেবে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ এক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা এসেছিলেন। কিন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলে সাধারণ মানুষ আর নেতাকর্মীদের অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের ফলে ১৯৯০ সালে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এরশাদ।

১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে সেখান থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালে তার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। তাঁকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাঁকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।

কিন্তু কোনভাবেই তিনি থেমে থাকেননি গণতন্ত্রের মানসকন্যা। জীবনের মায়া ত্যাগ করে কাজ করে গেছেন দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য। ফলে ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাঁকে আটক করে ১৫ দিন অন্তরীণ রাখে। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে তাঁকে দু’বার গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৮৫ সালের ২রা মার্চ তাঁকে আটক করে প্রায় ৩ মাস গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে তিনি ১৫ দিন গৃহবন্দী ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ১১ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে এক মাস অন্তরীণ রাখা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হয়ে গৃহবন্দী হন। ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে অন্তরীণ করা হয়।

কিন্তু কারা অভ্যন্তরেই বসে তিনি তার নেতাকর্মীদের বিভিন্ন আদেশ নির্দেশ পাঠাতে থাকেন। তার নির্দেশে চলতে থাকে আন্দোলন, এতে শহীদ হন নূর হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ই নভেম্বরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ”আমরা যখন মিছিল শুরু করছিলাম তখন নূর হোসেন আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি তাকে কাছে ডাকলাম এবং বললাম তার গায়ের এই লেখাগুলোর কারণে তাকে পুলিশ গুলি করবে। তখন সে তার মাথা আমার গাড়ির জানালার কাছে এনে বলল, “আপা আপনি আমাকে দোয়া করুন, আমি গণতন্ত্র রক্ষায় আমার জীবন দিতে প্রস্তুত।”

এই ঘটনার পর পর ৯০ এর আন্দোলন আরো জোরদার হয়ে ওঠে সেই সময়। যার ফলে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালের এইদিনে গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন তৎকালীন শাসক এরশাদ। এরমধ্য দিয়ে এরশাদের ৯ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান হয়। ১৯৯০ সালের আন্দোলন একটি গণ আন্দোলন হলেও এর মূল চালিকা শক্তি ছিলেন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দৃঢ নেতৃত্ব, ত্যাগের ফলেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মুক্তি সম্ভব হয়েছিল সেদিন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2025
MTWTFSS
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!