![](https://www.chttimes.com/wp-content/uploads/2022/06/IMG_20220425_021646-scaled.jpg)
![](https://www.chttimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক এবং সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১০ জুলাই যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে। মাঠ প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যেগ নেয়া হলে কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্বারা পরিবেশ দূষণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কোরবানির পশুর বর্জ্যরে সুষ্ঠু, পরিবেশসম্মত ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমটি সফলভাবে পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ, পশু জবাইয়ের স্থান পরিষ্কার করার জন্য সব সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে পশুর হাট বসবে বলেও জানান তিনি।
গত রোববার কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ,পশু জবাইয়ের স্থান পরিষ্কার করার জন্য সব সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি বাস্তবায়ন ও কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘœ হতে পারে, সেখানে কোনোভাবেই পশুর হাট বসানো যাবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ কর হবে। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা সবাই তাদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালন করবেন।